‘এই রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। এখন রায়টি দ্রুত কার্যকর হলেই রাফীর আত্মা শান্তি পাবে। এমন একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যা মামলার রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ আসামির সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আদেশ দেয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান। বৃহস্পতিার (২৪ অক্টোবর) ফেনীর নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের জনাকীর্ণ আদালতে দৃষ্টান্ত স্থাপনের এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক মামুনুর রশিদ।
এজলাসের পাশেই একটি ‘নাজির’র কক্ষে বসেছিলেন রাফীর বাবা মাওলানা একেএম মুছা মিয়া, বড়ভাই নোমান, ছোটভাই রাশেদুল হাসান রায়হান এবং তাদের আইনজীবী শাহজাহান সাজু। এসময় রাফীর বাবা বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এজন্য বিচার বিভাগ,পিবিআই,পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রাফীর বড় ভাই ও মামলার বাদী নোমান এসময় বলেছেন, রাফী হত্যা মামরার রায়ে আমরা অবশ্যই খুশি। সেই সঙ্গে আমরা হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই এ রায় দ্রুত কার্যকর চাই। তাহলে রাফীর আত্মাও শান্তি পাবে। তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি এ মামলার এবং আমাদের ব্যাপারে সব সময় খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি এভাবে তদারকি না করলে এত দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক রায় পেতাম না। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতকালীন আমরা ন্যায় বিচারের জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলাম।
রাফীর ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান রায় ঘোষণার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হলেও আসামি বা দোষি হিসেবে কেউ ছাড় পাননি। বিচার ব্যবস্থায় সরকারের নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতা আরেকবার প্রমাণিত হলো।
এদিকে এই রায়ের পর নিহতের স্বজন, প্রতিবেশিসহ পুরো ফেনীতে স্বস্তি বিরাজ করে। আদালতে রাফীর মা উপস্থিত না থাকলেও রায়ের তাৎক্ষণিক খবর মুঠোফোনেই জানতে পারেন তিনি। এমন খবর শুনেই সন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি মেয়ের ছবি ধরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রাফী মা শিরিনা আক্তার। এছাড়া রাফীর গ্রামে ও সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় রাফীর শিক্ষক-সহপাঠিদের মধ্যে উল্লাস লক্ষ্য করা যায়।