ফেনী
মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:২০
, ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আদালতে বিমূর্ষ আসামিরা

রায় শুনেই কান্না-হৈচৈ

বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা ৫৫ মিনিট। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের একটি এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় তখন উপস্থিত আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যাকান্ডের মূলহোতা অধ্যক্ষ সিরাজ ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনসহ ১৬ আসামি। তার পাঁচ মিনিট আগেই প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে কটোর নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ১৬ আসামিই তখন ব্যাপক দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত। চোখেমুখে আতংকের ছাপ। আসামি হাফেজ আব্দুল কাদের গুনগুন করে দোয়া পাঠ করছিলেন। এরপর ১১টায় এজলাসে বসেন বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। মাত্র সাড়ে ১২ মিনিটেরায় ঘোষণা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাঠগড়ায় থাকা আসামিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেউ কেউ হৈচৈ ও উচ্চস্বরে গণমাধ্যম ও পিবিআইকে গালাগাল দিতে থাকে।


গতকাল বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের একটি এজলাস কক্ষে অবস্থানকালে এমনই দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। আসামিরা এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। পরে পুলিশ পাহারায় আইনজীবীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।এসময় দেখা যায় আসামিদের মধ্যে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক আফসার উদ্দিন উচ্চস্বরে বলছিলেন এ রায়ে আল্লাহর গজব পড়বে। মিডিয়ার জন্য এমন রায় হলো। একটি আত্মহত্যাকে হত্যাকান্ড বলে মিডিয়া প্রচার করেছে। সাংবাদিকদের ছেলে-মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে বলে অভিশাপ দিয়ে গণমাধ্যমকে দোষারোপ করতে থাকেন তিনি।
এসময় পাশে থাকা আসামি হাফেজ আব্দুল কাদেরও সাংবাদিক ও পিবিআইকে দোষারোপ করে উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন। এসময় ডুকরে কাঁদছিলেন রাফী হত্যায় নেতৃত্ব দেয়া নুর উদ্দিন, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনিসহ কয়েকজন।ফিস ফিস করে কাঁদছিলেন মূলহোতা অধ্যক্ষ সিরাজ। তবে প্রচন্ড বিমর্ষ দেখালেও কাঁদছিলেন না সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক রুহুল আমিন।এই আওয়ামী লীগ নেতার ফাঁসির বিষয়ে আদালত বলেন, রাফী হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকা এবং ঘটনা পরবর্তী সময়ে আসামিদের রক্ষার চেষ্টাসহ হত্যা প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে জড়িত থাকায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!