ফেনীর সোনাগাজীতে গলা কেটে ইজিবাইকচালক নুর আলম (৩০) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মেহেদী হাসান ওরফে জনি (২০)। শনিবার রাতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গয়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মেহেদী হাসান ওরফে জনি সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের কেরানিবাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, বিয়ে করার জন্য টাকা জোগাড় করার উদ্দেশ্যে নুর আলমের অটোরিকশা ছিনতাই করতে চেয়েছিল। ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে নুর আলমকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আনোয়ার হুসেন বলেন, নুর আলমকে হত্যার পর মেহেদী হাসান নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গয়াবাজার এলাকায় তার ভাইয়ের এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান জানতে পারে পুলিশ। গত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এসআই আনোয়ার হুসেন বলেন, মেহেদী হাসানকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে। সেখানে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
এর আগে ২২ জুন এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. মিনহাজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। সে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া তিনজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ১৯ জুন রাতে সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট বাজার থেকে দুই যুবক নুর আলমের অটোরিকশা ভাড়া করে মিয়াজিঘাট এলাকায় যান। পথিমধ্যে গাড়িতে উঠেন মো. মিনহাজ। চরমজলিশপুর ইউনিয়নের মিয়াজিঘাট এলাকায় পৌঁছালে নুর আলমের কাছ থেকে অটোরিকশা ছিনতাই করার চেষ্টা করেন তারা।
ব্যর্থ হলে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পর দিন রাতে নুর আলমের বাবা বগাদানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ভূঞাবাড়ির নুর নবী বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।