ফেনী
শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৩১
, ৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ছয় বছর পর ফেনীর আদালতে স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি লাভ

দীর্ঘ ছয় বছর পর ফেনীর আদালতে স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি লাভ পেয়েছে। বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে মামলার বাদী নাজমুন নাহারের সাথে গ্রেফতারকৃত নুরুল ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।

সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দরবারপুর গ্রামের আমান উল্লাহর মেয়ে নাজমুন নাহার পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করা কালীন চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানাধীন সরাই পাড়া এলাকার মৃত সুলতান আহাম্মেদের ছেলে নুরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ ছয় বছর পূর্বে পরিচয় হয়। এসুবাদে উভয়ের মাঝে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠলে উভয় সম্মতিক্রমে চট্টগ্রামস্থ একটি বাসায় শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিছুদিন পর তাদের গর্বে নুসরাত জাহান তানিশা নামে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকত। পরে যৌতুকের দাবীতে ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর নাজমুন নাহারকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে ওঠে। মামলার বাদীনি দরিদ্র হওয়ায় জাতীয় আইনগত সংস্থা ফেনীতে আবেদন করলে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারী এডভোকেট সাইফ উদ্দিন মজুমদার শাহিনকে আইনজীবী নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরে আদালত শুনানী শেষে আসামী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। ১ সেপ্টেম্বর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আসামী পক্ষে জামিন প্রার্থনা করেন এডভোকেট গাজী তারেক আজিজ। আদালত শুনানী শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করে। গতকাল বুধবার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে স্বীকৃতি দেয়ার শর্তে আসামী রাজী হওয়ায় আদালতের বিচারক তাৎক্ষণিকভাবে কাজী ও মৌলভীকে আহবান করে উভয়ের মাঝে বিবাহের কার্য সম্পন্ন করে আসামী নুরুল ইসলামকে জামিন প্রদান করেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!