গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানের পানির চাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর ১২টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ফুলগাজীতে ৭টি ও পরশুরামে ৮টি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে গ্রামীণ সড়ক, মাছের ঘের, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে এবং বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধ লাখ মানুষ। নদী খনন ও সম্প্রসারণ করে নতুন বাঁধ দেয়ার মাধ্যমে ।সমাধানে একমাত্র পথ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।গত বুধবার বিকেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো তদারকি করতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।
এদিকে বন্যায় ভাঙ্গনের স্থান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান প্রকৌশলী পুর্বান্চল (কুমিল্লা) জহির উদ্দিন আহম্মেদ, ফেনীর পাউবোর সার্কেল তত্বাবধায়ক মো. শাহাজাহান সিরাজ, ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বন্যার সার্বিক অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে এবং বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান জানান, পরশুরাম-ফুলগাজী উপজেলার বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমূহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে টেকসই বাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।