ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় গত দুইদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বিতৃর্ণ এলাকা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ উপজেলায় অন্তত ৬ স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গণের দেখা দিয়েছে ও ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশপাশের এলাকাগুলোতে আতংকে ছুটোছুটি করছে এলাকাবাসী। অনেকেই গবাধি পশু ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ফুলগাজী-পরশুরাম সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ১দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপে বেড়িবাধ ভেঙ্গে আশপাশের নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছ। ঘনিয়া মোড়া এলাকায় বেড়িবাঁধে অন্তত তিনস্থানে ভাঙ্গণের দেখা দিয়েছে।
এদিকে পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর শালধর গ্রামের মহসিন মেম্বারের বাড়ী, দূর্গাপুরে কালাম মেম্বারের বাড়ি, পৌর এলাকার বেতাবাড়িয়া শাহ্ পাড়া গ্রাম, উত্তর ধনিকুন্ডা বধুমিয়ার বাড়ি ও নোয়াপুর আলত মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন স্থান ও ফুলগাজীর দেড়পাড়া, জয়পুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া গ্রামের অনেকাংশ প্লাবিত হয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাসেলুল কাদের জানান, উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত মুহুরী নদীর পানি ১ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তথ্যসর্বরাহের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে।