ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু। আদালতে রাফী হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নানা ত্রুটিপূর্ণ দিক উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন,২১ আগষ্ট গেনেড হামলা মামলার তদন্তে নিয়োজিত তিন পুলিশ কর্মকর্তা জজ মিয়া নাটকের নামে ‘আষাঢ়ে গল্প’ ফাঁদেন।রাফী হত্যা মামলায়ও পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ও তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম জজ মিয়া নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এ নাটকের সাথে যারা জড়িত তাদের একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন নান্নু আদালতকে জানান। এ সময় আইনের বিভিন্ন দিক ও যুক্তি এবং জাজমেন্ট’র রেফারেন্স আদালতে তুলে ধরেন তিনি। আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, মাহফুজুল হক ও বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু উপস্থিত ছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। গত ২৮ মে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: জাকির হোসাইনের আদালতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা/শম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০) কে আসামী করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা। ৩০ মে বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইন অভিযোগপত্রসহ মামলার নথি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠিয়ে দেন। গত ১০ জুন মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহণ হয়। ২০ জুন একই আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। ২৭ জুন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।