ফেনী
মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৫২
, ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

‘কথিত’ প্রেমিকাসহ ৩ জনের নামে মামলা

ঘোপালের মানিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ

ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে।ইয়াবাসহ ওই প্রেমিকা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।ইয়াবা আটকের ঘটনায় প্রেমিকা রেহানা আক্তার সুমি, আজিজুল হক মানিক ও ইকবাল হোসেন সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে খবর পেয়ে হালিশহর থানার সবুজবাগ কালিবাড়ির মুখ থেকে রেহানা আক্তার সুমি (৩৫) নামে এক নারীকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ । আটককৃত সুমি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক মানিক চেয়ারম্যান ও ইকবাল হোসেন তাকে দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করার কথা জানায়।তার সাথে মানিক চেয়ারম্যানের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেও সুমি পুলিশের নিকট দাবী করেন।
এ ঘটনায় হালিশহর থানার এএস আই আবুল হোসেন বাদি হয়ে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মো: মোস্তফার মেয়ে রেহানা আক্তার সুমিকে (৩৫) প্রধান আসামী করে ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আমিন শরীফের ছেলে ঘোপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিুল হক মানিক (৪৫) ও ইকবাল হোসেনকে (৩৮) আসামী করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এক বছর আগে স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রেহানা আক্তারের। এরপর ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকের মাধ্যমে তা মীমাংসা হয়ে কিস্তিতে রেহানার ধার্য্যকৃত মোহরানার টাকা পরিশোধের সীদ্ধান্ত হয়। ধার্য্যকৃত টাকা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রেহানা বুঝে নেবে। টাকার জন্য বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়া আসার সুযোগে মানিক চেয়ারম্যানের সাথে রেহানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাকে বিয়ের করার আশ্বাসও দেন চেয়ারম্যান। কয়েকদিন পূর্বে ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম ময়মনসিংহের হালুওয়াঘাট উপজেলায় গত ৮ ডিসেম্বর ছাগলনাইয়া সমিতি বাজারে গুলিতে নিহত সিরাজ হত্যা মামলার আসামীদের ধরতে গেলে সেখানে আসামীদের সাথে রেহানাকে পাওয়া যায়। তখন থেকে মানিক চেয়ারম্যানের সাথে রেহানার প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হয়। এরপর থেকে রেহানা বিয়ের জন্য চেয়ারম্যানকে চাপ দিচ্ছিলো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে বিয়ে করার কথা বলে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায়। এরপর রেহানা ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে আটক হয়।
হালিশহর থানার এএসআই আবুল হোসেন জানান, গত ৬ ফেব্রুায়রি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হালিশহর থানাধীন সবুজবাগ এলাকা থেকে ৫০ পিছ ইয়াবা সহ রেহানা আক্তার সুমি নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশ । আটকের পর সে তার সাথে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত আজিজুল হক মানিক চেয়ারম্যান ও ইকবাল হোসেনের নাম বলে। এরপর ৩জনকে আসামীকে করে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছি। আসামী রেহানা কারাগারে রয়েছেন এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যপারে ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের দাবী, রেহানার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি তাকে দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করনোর প্রশ্নই আসে না। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এটি তার অংশ।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!