ফুলগাজী প্রতিনিধি: ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা গ্রামের জাহেদা খাতুন (২১) নামে এক যুবতী নিখোঁজের ৪৫ দিন পর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে লাশের সন্ধ্যান মিলেছে।ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেলাল উদ্দিন (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী কুলছুমা আকতার (২৫)কে গ্রেফতার করেছে ফুলগাজী থানা পুলিশ।তাঁরা কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়ার বাসীন্দা।
পুলিশ সুত্র জানায়, ২৪ মার্চ জাহেদা খাতুনকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে চট্টগ্রাম জেলার শীতাকুন্ডে নিয়ে যান কুলছুমা আক্তার ও তার স্বামী হেলাল উদ্দিন।সেখানে জাহেদা খাতুনকে একটি ঘরে আটক রেখে ধর্ষণ ও খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে তারা।
এক পর্যায়ে মৃত্যুর দুদিন পুর্বে তাকে ফৌজদারহাট সংক্রমণব্যধি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের রেজিষ্ট্রারে হেলাল উদ্দিন তার নাম জসিম উদ্দিন ও জাহেদা খাতুনের নাম সাহেদা আকতার লিপিবদ্ধ করান।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হুমায়ূন কবির জানান, জাহেদা খাতুন মনিখোঁজের পর পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। তার ভাই হুমায়ূনের মোবাইলে ৩টি অপরিচিত নম্বর থেকে তার বোনের লাশ নিতে কল আসে।১৪ এপ্রিল জাহেদা খাতুনের ভাই গাড়ি চালক হুমায়ূন ফুলগাজী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি জানান, মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে হেলাল উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কুলছুমা আকতারকে সীতাকুন্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার ৮মে ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে অপহরণ ধর্ষণ ও হত্যার কথা দায়স্বীকার করে হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী কুলছুমা আকতার জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আসামীদের আদালতের মাধমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাহেদা খাতুনের লাশ চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাটের ফকিরহাট এলাকার একটি পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখা হয়েছে।
নিহত জাহেদা ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।