ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি উম্মে সুলতানা পপি। শুক্রবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে এ জবানবন্দি দেন পপি। বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে নয়টায় শেষ হয়।
জবানবন্দিতে পপি জানান, সে ঘটনার দিন রাফিকে পরীক্ষার হল থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো এবং ঘটনার পরিকল্পনা সাথে জড়িত ছিলো বলে আদালতকে জানিয়েছেন বলে জানান পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো: ইকবাল। পপি ওই মাদ্রাসার অলিম পরীক্ষার্থী এবং নুসরাতের সহপাঠী। এর আগে পিবিআই ৫ দিনের রিমান্ড শেষে পপিকে আদালতে জবানবন্ধীর জন্য হাজির করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম জানিয়েছেন, উম্মে সুলতানা পপিকে গত ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ এপ্রিল তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে জাবেদ হোসেনের ৭ দিনের রিমান্ড শেষে একই আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় এজাহারভূক্ত ৮ আসামীসহ মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আসামী নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ ও হাফেজ আবদুল কাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা চারজনই রাফি হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।