ফেনীতে ছাত্রদলের এক বড় ভাইকে অপমানের শোধ নিতেই ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা আহম্মদ শাকিলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন চার বন্ধু।শনিবার বিকেলে ফেনীর বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শাকিল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বর্ণনা দেন ইমদাদুল হক বিজয় (২১) নামে এক ছাত্রদল নেতা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের জহিরিয়া মসজিদের পাশের গলিতে ধরে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা আহম্মদ শাকিলকে ছুরিকাঘাতে খুন করে দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল,জেলা কৃষকদলের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী,জেলা ছাত্রদল সভাপতি নাঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত,যুবদল নেতা জাহিদ হোসেন বাবলু,ছাত্রদল নেতা রিয়াদ পাটোয়ারি,শরিফুল ইসলাম রাসেলসহ ২১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন শাকিলের পরিবার।পুলিশ ওই সময় খবির আহম্মদ (৫০) ও শরিফুল ইসলাম (২০) নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে ন্যস্ত করা হয়। পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মোনায়েম মিয়াকে তদন্তভার দেওয়া হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর কয়েক দিন আগে বেলাল খান নামের একজন আসামীকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে হত্যা মামলার আরেক আসামি ছাত্রদল নেতা ইমদাদুল হক বিজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিতে বিজয় জানিয়েছেন, শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের পুরোনো পুলিশ কোয়ার্টার এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের দুটি বিবদমান গ্রুপ রয়েছে।এক ছাত্রদল নেতাকে অপমান করেন শাকিল।এর জের ধরে ঘটনার দিন বেলাল ও বিজয়সহ চার বন্ধু জহিরিয়া মসজিদের পাশে ছাত্রলীগ নেতা শাকিলকে একা পেয়ে পাশের গলিতে ধরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাকিল।
গ্রেপ্তারের পর বেলাল খান ও ইমদাদুল হক বিজয় আদালতে ১৬৪ ধারায় একই ধরনের স্বীকারোক্তি দেন।অপর দুই আসামী এখনো পলাতক রয়েছে বলে।তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পিবিআই সুত্র জানান।