ফেনী
শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৫০
, ১৪ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জীবনসঙ্গীকে ভালো রাখুন তবেই দীর্ঘায়ু জীবন!

শরীর ভালো তো সব ভালো! দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য লাভের জন্য রোগ বালাই থেকে দূরে থাকা যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা সকলেরই জানা। শুধু শরীরের ভালো থাকা নয়, মনের ভালো থাকাটাও ততখানিই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্রেফ নিজের ভালো থাকা দিয়েই দীর্ঘায়ু হতে পারবেন না আপনি। দীর্ঘকাল বাঁচতে হলে আর সুস্থ থাকতে গেলে নিজের পাশাপাশি নিজের জীবনসঙ্গীকেও সুখী থাকতে হবে। নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ ইউনিভার্সিটি গবেষক ওলগা স্টাভারোভা বলেন, “এই গবেষণায় আমরা মূলত দেখাতে চেয়েছি, কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর তার আশপাশের সামাজিক পরিবেশের প্রভাবকে ঠিক কেমন।”

সাইকোলোজিকাল সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী, যাদের জীবনসঙ্গী খুব সক্রিয় জীবনযাত্রায় থাকেন, নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন, বহুমুখী কাজে অংশ নেন সেই মানুষের নিজেরও তাঁর জীবনযাত্রায় সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। স্টাভারোভা বলেন যে, ঠিক একই রকমভাবে যদি আপনার জীবনসঙ্গী অবসাদগ্রস্ত হন, বা বাড়িতে সন্ধ্যায় টিভির সামনে বসে বসে কেবল চিপস খেতে পছন্দ করেন তবে আপনার জীবনেও কিছু করার ইচ্ছা, ভালো থাকা সবই শেষ হয়ে যাবে।

স্টাভারোভা আমেরিকার প্রায় ৪৪০০ জন দম্পতিকে নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছেন। এই দম্পতিদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। পরিসংখ্যান সংগ্রহ শুরু করার আট বছর পর প্রায় ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরাই মারা যান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা মারা গেছেন তারা জীবিত থাকা অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় বয়স্ক, কম শিক্ষিত, কম ধনী, শারীরিকভাবে কম সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যবান ছিলেন না।

এখানেই শেষ নয়, তারা জীবিত অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় সম্পর্ক এবং জীবন নিয়েও কম সন্তুষ্ট ছিলেন। নিজেদের জীবনসঙ্গী এবং জীবন বিষয়েও খুবই অবসাদে ভুগতেন তাঁরা। এই গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, যেসব মানুষদের জীবনসঙ্গী জীবন নিয়ে মধ্যে সন্তুষ্ট ছিলেন বা যারা অলস বসে থাকার থেকে সবসময়েই সৃজনশীল বা গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত থাকতেন সেই মানুষদের মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলক কম ছিল।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!