মহিলাদের তালিম দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফেনীতে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এসময় প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ফাজিলপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সোহরাব হাসান, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি জিয়াউর রহমান,ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি আরমান হোসেন, সেক্রেটারি মেহেদী হাসান,প্রকাশনা সম্পাদক সারাফাতুল্লাহ,
১নং ওয়ার্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের পরিচয় জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফাজিলপুর ইউনিয়নের আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন একটি বাড়িতে মহিলা জামায়াতের তালিম কর্মসূচি চলাকালে সেখানে যান সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য কামরুলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী।সেখানে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।একপর্যায়ে জামায়াত এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পরে উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে।
এঘটনায় আহতদের দেখতে রাতে হাসপাতালে যান ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান।
এসময় হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর বিএনপি ও যুবদলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। মহিলা জামায়াতের অনুষ্ঠান বন্ধ করার পরিকল্পনায় ব্যর্থ হওয়ায় তারা পরবর্তী বাজারে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এর আগেও আমাদের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার বলেন, জামায়াতের মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।এতে আমাদের এক নেতা সেখানে গিয়ে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বললে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা এসে অতর্কিত হামলা চালায়।তাদের হামলায় আনোয়ার আজিম, হাসান, দুলাল, কিরণ, কামরুলসহ অন্তত ৭ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, মহিলা জামায়াতের একটি কর্মসূচিকে ঘিরে দুইপক্ষের কথা-কাটাকাটির বিষয়ে শুনেছি।পরবর্তীতে তারা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করেছে বলেও জেনেছি।