ফেনী
মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪০
, ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পরশুরামে প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে শীলতাহানীর চেষ্টাঃ থানায় মামলা দায়ের

 

পরশুরাম প্রতিনিধি: ফেনীর পরশুরামে মির্জানগর ইউনিয়নের কালিকাপুর বাশারত উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং আরো কয়েকজন সহযোগী সহ জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। এই ব্যাপারে পরশুরাম থানায় শিক্ষার্থীর চাচা আবদুল মোমিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও স্কুল ছাত্রী কে যৌন পীড়নের অভিযোগে মো ইলিয়াছ হোসেনের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও ওই কাজে সহায়তার করার অপরাধে অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনকে আসামী দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মো ইলিয়াছ উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ফখির খিল গ্রামের ছানু মিযার ছেলে। পরশুরাম থানার পুলিশ বহু নাটকীয়তার পর গত ১৪ মার্চ মামলাটি রেকর্ড করেছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন ৮ মার্চ তারিখে ওই স্কুল ছাত্রী তার সহপাটিদের সাথে স্কুলে যাচ্ছিলেন এই সময় ফখিরের খিল গ্রামের ফারুকের পল্টি ফার্মের খামারের সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে উতপেতে থাকা বখাটে মো ইলিয়াছ ও তার ৪/৫ জন সহযোগী তাকে গতিরোধ করে জোরপূর্বক ষ্পকাতর স্থানে হাত দেয় এবং শীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে এই সময় শিক্ষার্থীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীর পরিবার বিষয়টি স্কুল প্রধান শিক্ষককে জানালে শিক্ষক বিষয়টি পরশুরাম থানায় লিখিত ভাবে জানান। ওই দিন শিক্ষার্থীর চাচা আবদুল মোমিন পরশুরাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে থানার এসআই মো: সফিকুল ইসলাম বাদীর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে দশ হাজার টাকা দেওয়ার পর গত ১৪ মার্চ মামলাটি রেকর্ড করেন।

পরশুরাম থানার এসআই মো; সফিকুল ইসলাম জানান,বাদী মামলা দিতে গরিমসি করে তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার কোন কারন নেই, বাদী পক্ষের লোকজন থানায় মামলা দিতে গিয়ে পরে বাড়ীতে ফিরে যায় এবং সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশার চেষ্টা করে। প্রাথমিক ভাবে শীলতাহানীর চেষ্টা ও জোর পূর্বক ছবি তুলার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে এই পর্যন্ত তিনবার অভিযান চালানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান বখাটে ইলিয়াছ গত বছর ও একই স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে প্রেমে সাড়া না দেয়ায় প্রকাশ্যে থাপ্পর মারেন ওই স্কুলে ছাত্রীর পিতা পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করলে। মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে সালিশ বৈঠক বসে আপোশ মিমাংশা করে মামলা প্রত্যাহার করা হয়।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!