নিজস্ব প্রতিবেদক-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসকে অকার্যকর করতে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজি কেরামত আলী।
সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘অ্যাপটেক শিক্ষা প্রশিক্ষণ সেবা পণ্যের’ উদ্ভাবন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করেছে অ্যাপটেক এবং এডিএন এডু সার্ভিস।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কীভাবে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও মতামত চাওয়া হচ্ছে। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি যে, পর্যায়ক্রমে এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন) প্রশ্ন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেব। যাতে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা না থাকে।’
আগামী বছর থেকে প্রশ্নফাঁসের খবরটি আর আসবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
১৯৯২ সালে এসএসসিতে প্রবর্তনের সময় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমসিকিউতে নেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে আনা হয়।
চলতি এসএসসিতে এই পর্যন্ত সবগুলো বিষয়েরই এমসিকিউ প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেয়ার পক্ষে এর আগে শিক্ষা সচিবও মত জানিয়েছিলেন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও আজ একই কথা জানালেন।
ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে শিক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ থাকছে না। সে জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এর প্রভাব পরীক্ষার্থীদের ওপর পড়ছে না।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নের জন্য ২২টি কর্মপন্থা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি অফিস আদালতে ই-সেবা চালু করা, ই-গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারি কাজের গতি বাড়ানো, ভূমি রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন উল্লেখযোগ্য।
এডিএন এডু সার্ভিসেস লিমিটেড এবং অ্যাপটেকের যৌথ উদ্যোগে চারটি পাওয়ার ব্রান্ড-অ্যাপটেক কম্পিউটার এডুকেশন, এরিনা মাল্টিমিডিয়া, অ্যাপটেক হার্ডওয়ার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি এবং অ্যাপটেক ইংলিশ লার্নিং একাডেমি উন্মোচন করেছে।