বিশেষ প্রতিনিধি-ফেনী্র তিন শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, ২১ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. সৈয়দা নওশীন পর্নিলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জেলার তিনজন চেয়ারম্যানকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়। এরা হলেন- ফেনীর জায়লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন, ছনুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান করিমুল্লাহ বিকম ও শর্শদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানে আলম। অথচ উপজেলা ও জেলা পর্যায় থেকে এ অর্থ বছরে কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন এখনও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ফেনীর উপপরিচালক দেবময় দেওয়ান। এ নিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও পুরস্কার না পাওয়াদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানরা জানান, এ পুরস্কার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ভুলে ২০১৭-১৮ উঠেছে। অথচ পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় ২০১৬ সালে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের নামও রয়েছে। অন্যদিকে অন্য চেয়ারম্যানরা বলছেন এটি সুস্পষ্ট প্রতারণা। প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা রেখে এক চেয়ারম্যান বার বার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হচ্ছেন। এ ধরনের প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির কারণে স্থানীয় সরকার উন্নয়নে তৃনমূলে বাধাগ্রস্ত হবে।
সূত্র আরো জানান, শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান ঘোষণার ৫ দিন পর ২৬ নভেম্বর ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ ধরনের একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেটি এখনও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়নি। শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত জায়লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন দাবি করেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কথাটি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ওই প্রজ্ঞাপনে ভুলে এটি লেখা হয়েছে। ফেনী জেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি করিম উল্লাহ বিকমও প্রজ্ঞাপনে ভুলের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ অর্থবছরের (২০১৭-১৮) তালিকা এখনও প্রস্তুত হয়নি।
এ বিষয়ে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন জানান, তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগেই ২১ নভেম্বর শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ঘটনা প্রশাসনের মাঝেও নানা প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ফেনীর উপপরিচালক দেবময় দেওয়ান বলেন, এ ধরনের কোনো তালিকা এখনও আমরা বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাইনি। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।