কথা ডেস্ক-বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় প্রথমবারের মত ফেনী ইউনিভার্সিটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শনিবার ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় রং-বেরংয়ের বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফেনী ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব ডা. এ.এস.এম. তবারক উল্লাহ চৌধুরী বায়েজীদ।
ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সাইফুদ্দিন শাহ্ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর তায়বুল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের সুর ও মূর্ছনায় অতিথিগণ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পতাকা উত্তোলন করেন। বিচারকদের পক্ষে প্রধান বিচারক ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কাশেমকে ও ক্রীড়াবিদদের পক্ষে কৃতি ক্রীড়াবিদ ফারিহা আহমেদকে উপাচার্য শপথ বাক্য পাঠ করান।
সভাপতির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সাইফুদ্দীন শাহ্ বলেন, সারা বছর একটানা কর্মব্যস্ততার একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি এবং জীবনে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে সাহায্য করবে। এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শারীরিক উৎকর্ষতার পাশাপাশি ক্লাসে অথবা কর্মক্ষেত্রেও তারা দ্বিগুণ উৎসাহ পাবে। ক্রীড়া জগতকে সমৃদ্ধ করতে ক্রীড়াবিদদের নিয়মিত অনুশীলন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ জরুরি। সুস্থ দেহ ও সুন্দর মন গঠনের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা, স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ, ফেনী সরকারী কলেজ, জয়নাল হাজারী কলেজ এবং ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এ.এস.এম তবারক উল্লাহ চৌধুরী বায়েজীদ বলেন, ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল। তিনি একজন চিকিৎসক হিসাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠনে খেলাধুলার ভূমিকার বিষয়ে তুলে ধরেন এবং এই মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ফেনী ইউনিভার্সিটি যেভাবে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে তাতে আগামী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফেনী ইউনিভার্সিটির নিজস্ব মাঠেই করা সম্ভব হবে। তিনি প্রতিযোগীদের খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব বজায় রেখে ক্রীড়ায় অংশগ্রহনের আহ্বান জানান।
ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর তায়বুল হক বলেন, হার-জিৎ প্রতিযোগিতার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বড় কথা। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্র্রহী করে তুলতে হলে ক্রীড়া, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদের কোমল-মতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে তাদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠতে এবং সুস্থ বিনোদন চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।
পরে অতিথিবৃন্দ দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্ট প্রত্যক্ষ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রতিযোগিতায় ২১টি ইভেন্টে প্রায় দুই শতাধিক খেলোয়াড় অংশ নেয়।