আন্তর্জাতিক ডেস্ক-প্রত্যেক নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণের দাবি জানিয়েছেন রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। রোহিঙ্গাদের প্রতি ইঙ্গিত করে মঙ্গলবার মিয়ানমারে এই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি তার বক্তব্যে একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি।
বিবিসি জানায়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়দের ফিরিয়ে নিতে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করার জন্য পোপকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিয়ানমার সফরের আগে আহ্বান জানিয়েছিল।
মিয়ানমারের একমাত্র ক্যাথলিক কার্ডিনাল মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য পোপকে আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন। এতে করে মিয়ানমারে ক্যাথলিকরা ঝামেলায় পড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গেও আজ বৈঠক করেছেন পোপ।সোমবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন আউং হ্লাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোপ।
পোপ ফ্রান্সিস রবিবার রাতে ইতালির রাজধানী রোম থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সোমবার দুপুরে চার দিনের সফরে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাকে স্বাগত জানান। মিয়ানমারে কোনো পোপের এটাই প্রথম সফর বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করলেও পোপ তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। আর এই শান্তি আসবে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে মর্যাদা ও অধিকার প্রদান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধার জানানোর মাধ্যমে। প্রতিটা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে গণতন্ত্রের নির্দেশ অনুরসরণ করতে হবে- কেউ বাদ যাবে না। এতে করে সবারই মঙ্গল হবে।
গত আগস্টের শেষভাবে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান।
এই অভিযানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চলছে বলে অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো; জাতিসংঘ একে দেখছে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা হিসেবে।