ফেনী
শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৪৭
, ২৭শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
গৃহযুদ্ধের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ বাংলাদেশকে করিডোর দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহবান বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি উত্তরা’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল ইয়াং স্টার ক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফরহাদ নগর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফসলি জমির মাটিকাটা রোধে গভীর রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান,এস্কেভেটর-ট্রাক জব্দ বালিগাঁওয়ে প্রতিপক্ষের বাধায় থমকে গেল ব্যবসায়ীর গৃহ নির্মাণ,হামলার অভিযোগ বিশিষ্টজনদের মিলনমেলায় পরিণত রামপুর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের দোয়া ও ইফতার

সৌদি নারীরা কতটা নির্যাতনের শিকার

Saudi visitors attend the Riyadh International Book Fair on March 5, 2013 in the Saudi capital. The Exhibition opened officially today and will continue until March 15. AFP PHOTO/FAYEZ NURELDINE (Photo credit should read FAYEZ NURELDINE/AFP/Getty Images)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
শেষ পর্যন্ত দেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতাদের অগ্রাহ্য করে সৌদি বাদশাহ সালমান তার দেশের নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামনের বছর থেকে সৌদি নারীরা চালকের আসনে বসতে যাচ্ছেন। খবর বিবিসির।

সারা পৃথিবীতে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে বদ্ধমূল ধারণা – সৌদি নারীরা বিশ্বের সম্ভবত সবচেয়ে পরাধীন, নিপীড়িত একটি সমাজ। তারা এমনকী গাড়িও চালাতে পারে না।

কিন্তু এই ধারণার ভিত্তি আসলে কতটা শক্ত?

অনেক সৌদি নারী অবশ্য মনে করেন, এটা অনেকটাই পশ্চিমা গণমাধ্যমের ‘গৎবাঁধা’ ধারণা। পুরো চিত্রটা ততটা ভয়াবহ নয়।

সৌদি সাংবাদিক সামার আল মোরগান বলছেন, ‘পশ্চিমা গণমাধ্যমে যেভাবে সৌদি নারীদের তুলে ধরা হয়, সেটা পুরোপুরি বাস্তব চিত্র নয়।’

সৌদি একটি কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক নূরা আর শাবান দাবি করছেন, নিপীড়ন বলতে যা বোঝায়, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তা কখনই অনুভব করেননি। ‘মনে রাখতে হবে, সৌদি পার্লামেন্টে এখন ৩০ জন নারী সদস্য।’

কিন্তু তারপরও এই দুই নারীর আশাব্যঞ্জক বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য? সৌদি সরকার বেশ কিছু উদাহরণ সামনে নিয়ে আসতে পারে।

যেমন, সম্প্রতি সৌদি নারীদের ভোট দেয়ার এবং ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার মিলেছে। সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি নেয়া পুরুষের চাইতে নারীদের সংখ্যা অনেক বেশি।

নারীদের কাজ করতে কোনো বাঁধা নেই। সৌদি নারীরা সাংবাদিক হচ্ছেন, চলচ্চিত্রকার হচ্ছেন , ডাক্তার হচ্ছেন, প্রকৌশলী হচ্ছেন, ব্যাংকার হচ্ছেন, বিজ্ঞানী হচ্ছেন। পুরো উপসাগরীয় আরব অঞ্চলে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়া প্রথম নারী একজন সৌদির নাগরিক।

এমনকী অন্যান্য বহু দেশের তুলনায় সৌদি নারীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বেশি তৎপর।

টুইটারে #WomenStopHarrasser, #26OctDriving, #GirlsConfrontsReligiousPolice এ ধরনের অনেকগুলো পাতায় সৌদি নারীরা খুবই সরব। গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে তারা কারাবরণ পর্যন্ত করেছেন।

কিন্তু এত কিছুর পরও একজন মানুষ হিসেবে কতটা স্বাধীন সৌদি নারীরা?

উদ্বিগ্ন হওয়ার বহু যথার্থ কারণ এখনও রয়েছে। প্রথম কথা, কার্যত যে কোনো কাজেই এখনও সৌদি নারীদের একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি দরকার।

নূরা আল হারবি নামে একজন ছাত্রী বলছে, ‘কিছু আইন অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই আমরা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারি, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

নারী অধিকার নিয়ে গবেষণা করেন হামসা আল সিনৌসি। তিনি বলছেন, এখন একজন সৌদি নারী একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কারাগার থেকে ছাড়া পায় না। ফলে নারীরা যাতে সংসারে না ফিরতে পারে, তার জন্য অনেক পুরুষ দিনের পর দিন অনুমতি দিতে চায় না।

হামসা সিনৌসি বলছেন, কারাগারে আটকে পড়ে থাকার আতঙ্কে অনেক সৌদি নারী মুখ বুজে গৃহে নির্যাতন সহ্য করেন।

তবে কোম্পানি নির্বাহী নূরা আল শাবান বলছেন, সবসময় পশ্চিমা মিডিয়াতে সৌদি নারীদের শুধু নির্যাতিত হিসেবে দেখানো একবারে ঠিক নয়।

‘এই একতরফা গৎবাঁধা চিত্র আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে অনেকসময় খাটো করে ফেলে।’

 

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!