টানা বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পানির ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থানে ভাঙনের ফলে নতুন করে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভাঙন এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়।এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।তবে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে মুহুরী সেচ প্রকল্পের সব ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্রুত গতিতে পানি কমছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার আংশিক এলাকায় ৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৬ হাজার ৮শ ২৬ জন। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও সহায়তায় কাজ করছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।বন্যাদুর্গতরা আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন।তাদের শুকনো ও রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।