সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘদিন পর ফেনীতে আসছেন বহুল আলোচিত সাবেক সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা জয়নাল হাজারী।ঈদের দিন শহরের মাষ্টার পাড়ায় পিতা-মাতা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে মুজিব উদ্যানে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ঢাকায় ফিরবেন বলে ফেসবুক লাইভ ভাষনে হাজারী জানিয়েছেন।
তবে তার উপর হামলার আশংকা ও নেতাকর্মীদের না আসতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এমন অভিযোগও করেছেন তিনি।
দীর্ঘ ১২ বছর পর ফেনী আসছেন এটা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিছুতেই মানতে পারছে না বলে বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভ ভাষণে হাজারী বলেন, তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। বিনা কারণে তার বাড়ির সীমানা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন সাংসদ নিজাম হাজারী, তাকে ফেনী আসতে হুমকি-ধমকি ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তার বাড়ির আঙ্গিনায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। প্রতিপক্ষেরর হাতে তার মৃত্যু হলেও হাজারী ফেনী আসবেন বলে ষোষণা দেন। তার জন্য নেতাকর্মীসহ ফেনীবাসীর কাছে ক্ষমা চান। হাজারী ফেনী আসার বিষয়টি প্রশাসন, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
ফেনীর রাজনীতির এক সময়ের বাতিঘর মুজিব উদ্যানে ফিরবেন জয়নাল হাজারী।এবারের কোরবানির ঈদে বাড়ি আসবেন সাবেক এই সাংসদ। তাই তার কর্মি-সমর্থকদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে হামলার আশংকাও রয়েছে।
জয়নাল হাজারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাবো। মুজিব উদ্যানে নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ আড্ডায় অংশগ্রহণ করবো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে হাজারীর আগমনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন সংস্কারের পর সম্পূর্ণ প্রস্তুত জয়নাল হাজারীর ফেনীর বাড়ি মুজিব উদ্যান।বাড়ির আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে, সীমানা প্রাচীর রঙিন হয়েছে, ভবনের সকল ফ্লোর ও আসবাপত্র পরিষ্কার করা হয়েছে, বিছানা ও বালিশও প্রস্তুত।
২০০১ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভারতে আত্মগোপনে চলে যান হাজারী। ৮ বছর পর ২০০৯ সালে দেশে ফিরেন। কিছু দিন কারাভোগের পর এই বাড়িতে উঠেছিলেন জয়নাল হাজারী।আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দলীয় প্রধানের নির্দেশে দীর্ঘ ১২ বছর ঢাকায় অবস্থান করেন।
গত সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। এরপর থেকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে বার বার ফেনী’ আসার ব্যাপারে অনুমতি চান। সর্বশেষ এবারের ঈদুল আজহায় বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।