ফেনী
বুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:২০
, ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

১৩ মার্চ একরাম হত্যার রায় ,সকল আসামির জামিন বাতিল

বিশেষ প্রতিনিধি-বহুল আলোচিত ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায় ১৩ মার্চ । মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে  যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক আমিনুল হক এ আদেশ দেন।এসময় জামিনে থাকা সকল আসামির জামিন বাতিল বলেও আদেশ দেন তিনি।বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিপি হাফেজ আহম্মদ।

সূত্র জানায়,এ হত্যার সাক্ষ্যগ্রহন, সাফাই সাক্ষীর জেরা শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী রবিবার থেকে সরকার পক্ষ ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়।টানা যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ১৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করে জামিনে থাকা সকল আসামির জামিন বাতিল করে আদেশ দেন।

আদালতের পিপি হাফেজ আহম্মদ আরো জানান, এ মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার চার্জশীটভুক্ত ৫৬ জন আসামীর মধ্যে ১৬ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছেন। স্বীকারোক্তি প্রদান করা ১৬ জনের মধ্যে হেলাল উদ্দিন নামে একজন পরে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এছাড়া মামলার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীরাও একরামুল হকের গাড়ির গতিরোধ, গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার রোমহর্ষক বর্ননা দিয়েছেন। সরকারী আইনজীবী আসামীদের মৃত্যুদন্ডসহ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

পিপি হাফেজ আহম্মদ আরো জানান, মামলার চার্জশীটভুক্ত ৫৬ জন আসামীর মধ্যে বর্তমানে ১৯ জন কারাগারে।এছাড়া জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে একজন আসামী ইতিমধ্যে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।বাকিরা পলাতক রয়েছে।

প্রসঙ্গত; ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ীর গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়ীসহ পুড়িয়ে হত্যা করে আসামীরা। এ ঘটনায় একরামের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo