ফেনী
শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২৪
, ৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় ফরহাদ নগরে স্কুল শিক্ষকের পদত্যাগ দাবীতে বিক্ষোভ

সদর প্রতিনিধিঃ নামাজ,ইসলাম ও হিজাব নিয়ে কটুক্তি করায় ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগরে স্কুল শিক্ষক শংকর দেবনাথের  পদত্যাগ দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়নের কে.এম.হাট আদর্শ বিদ্যালয় মাঠে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।পরে বিদ্যালয় গেটে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কে.এম.হাট আদর্শ বিদ্যালয়ের গনিত শিক্ষক শংকর দেবনাথ বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে নামাজ,ইসলাম ও হিজাব নিয়ে নানা কটুক্তি করেন।এসময় তিনি আরো বলেন, নামাজ পড়ে কি লাভ ? নামাজ পড়ে কি পাস করা যাবে ? ছাত্রীদেরকে হিজাব পড়তে নিষেধ করে বলেন, হিজাব পড়লে ছাত্রীদের চেনা যায় না, তাদের মায়ের মত লাগে, মেয়ের মত লাগেনা…

এছাড়া হোস্টেলে অবস্থানকারী ছাত্ররা নামাজ পড়তে গিয়ে দেরী করলে তা নিয়ে নানা কটুক্তি করার অভিযোগ রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নির্যাতন চালায় শংকর দেবনাথ নামের শিক্ষকটি।

ফলে বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুর অর রশিদ মাসুদকে জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করে অভিযুক্ত শিক্ষক শংকর দেবনাথের পদত্যাগ দাবী করে নানা শ্লোগান দেয়  শিক্ষার্থীরা।পরে বিদ্যালয় গেটে তালা লাগিয়ে দেয় তারা।এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শংকর দেবনাথের সাথে ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

47473841_938365486353092_2941679536900669440_n

আরেকটি সুত্র জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুর অর রশিদ মাসুদের সাথে যোগসাজশে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে শংকর দেবনাথ ও শংকর পাল অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা ফি আদায় করেন ও বছরজুড়ে কোচিং করতে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করান।কোচিং না করলে অভিভাবক ডেকে অপমানী করেন তারা।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টানা ৪ মাস ঢাকা অবস্থান করার পরেও কোচিং এর আয় থেকে ভাগের টাকা আদায় করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান।

এছাড়া মোটা অংকের ঘোষ নিয়ে অনিয়ম করে অযোগ্য লোকদের শিক্ষক হিসেবে  নিয়োগ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্বে।বিদ্যালয়টি এই তিন শিক্ষকের নিকট জিম্মি হয়ে পড়ায় পরিবেশসহ পড়ালেখার মান ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে।এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছাড়পত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যায় বলে এলাকাবাসী সুত্র জানান।

বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুর অর রশিদ মাসুদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এব্যপারে পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফেনীর কথা ডটকম’কে জানান,শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফোরকান চৌধুরী শনিবার সকালে সভা আহবান করেছেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!