ফেনী সদর উপজেরার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যম ছনুয়া গ্রামে নাঈমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। সোমবার সকালে গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ি ওই গ্রামের কবির আহম্মদের নতুন বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।সন্ধ্যায় গৃহবধুর প্রবাসী স্বামী মো. ইব্রাহিমকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম ওই বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে। সে গত মার্চ মাসে ডুবাই থেকে দেশে এসেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে মধ্যম ছনুয়া গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. ইব্রাহিমের সাথে একই ইউনিয়নের টঙ্গির পাড় গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে নাঈমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেয়ের বাবার বাড়ির লোকজনকে চাপ দিতো। বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য গৃহবধু নাঈমা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতনও করতো শাশুড়ি।
পরিবার সুত্র আরও অভিযোগ করেন, গত মার্চ মাসে স্বামী ইব্রাহিম দেশে আসলে ফের যৌতুকের জন্য চাপ দেয় নাঈমাকে। গৃহবধু যৌতুক দিতে অপারোগতা প্রকাশ করলে রোববার রাতে নাঈমাকে স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মেয়ের বাড়িতে জানায়, নাঈমা আত্মহত্যা করেছে।
মেয়ের পরিবার বিষয়টি বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে পুলিশ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধু নাঈমার চার বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপতাল মর্গে প্রেরণ করে। দুপুরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদি হয়ে সন্ধ্যায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় স্বামী, শ্বশুড় ও শাশুড়িকে আসামী করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী স্বামী মো. ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।