শাহাদাত হোসেন তৌহিদ-ফেনী-সোনাগাজী সড়ক সংলগ্ন দাউদপুল ব্রিজ এলাকায় প্রায় ৪০০ বছরের একটি বোট কড়ই গাছ রয়েছে। অনেকের মতে, এটি ৩০০ বছর আগের। এ জনপদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে গাছটি। সন্ধ্যা হলে বিভিন্ন ধরনের পাখি এসে ভিড় করে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
বিষয়গুলো জানতে কথা বলি কয়েকজন প্রবীণের সঙ্গে। গাছটির পাশে রয়েছে তুলাবাড়িয়া গ্রাম। ওই এলাকার ৭৫ বছর বয়সী কাজী এহসান জানান, আমরা শুনেছি এটি বাংলার প্রথম রাজা শের শাহের আমলের। জšে§র পর থেকেই গাছটিকে এভাবেই দেখে আসছি।
দাদা-নানারা অনেক কেচ্ছা-কাহিনি শোনাতেন আমাদের। তবে গাছটির ইতিহাস কেউই সঠিকভাবে জানেন না। কবি নবীন চন্দ্র সেন এখানে বসে কবিতা লিখতেন এমন কথা এ তল্লাটে প্রচলিত।
গাছটির নিচে ৪৭ বছর ধরে ব্যবসা করছেন অভিলাষ কর্মকার। তার কাছে গাছটি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ব্যবসার শুরু থেকেই গাছটি দেখে আসছি। একটা সময় এ এলাকায় দোকানপাট তেমন ছিল না। ভয়ে কোনো মানুষ আসতে সাহস পেত না। ফেনী নদী থেকে প্রবাহিত একটি ডোবার অবস্থান ছিল এখানে। কালক্রমে তা হারিয়ে গেছে। এখন অনেক দোকানপাট হলেও গাছটি আগের মতোই রয়ে গেছে।
কথিত আছে, ফেনীর প্রথম মহকুমা প্রশাসক (সাব-ডিভিশনাল অফিসার ‘এসডিও’), তিনি ছিলেন ১৯ শতকের বাংলা সাহিত্যের অমীয় কবি ও দার্শনিক নবীন চন্দ্র সেন। এখানে বসে তিনি কবিতা লিখতেন। একা একা বসে থেকে ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যেতেন। স্থানীয়দের মতে, এটি বাংলার প্রথম রাজা শের শাহ লাগিয়েছিলেন। অনেকের মতে, ইংরেজ শাসনামলে গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড তৈরির সময় ইংরেজরা এখানে বিশ্রাম নিতেন।