ফেনী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ফোরকান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আপন ছোট ভাই বোরহান চৌধুরী (৪৭) ও তার স্ত্রী রাশেদা আক্তারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে হত্যা চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।বুধবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে ফরহাদ নগর ইউনিয়নের নৈরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।হামলায় আহতরা ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে।এ ঘটনায় ফোরকান চৌধুরীসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে,ফরহাদ ইউনিয়নের নৈরাজপুর গ্রামের ফারুক আহম্মদ চৌধুরীর ছেলে বোরহান চৌধুরীর সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে অপর ছেলে ফোরকান চৌধুরী ও ফজলুল করিম চৌধুরী স্বপনের বিরোধ চলে আসছিলো।বিষয়টি নিয়ে ফেনী সদর উপজেলা সহকারি জজ আদালতে বন্টন মামলা ১১৭/১৮ দায়ের করে বোরহান চৌধুরী।ফলে নালীশি জমিতে স্থিতি অবস্থার আদেশ দেন আদালত ।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা প্রত্যাহার করার হুমকি দেয় অন্যথায় বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে লাশ গুম করারও হুমকি দিয়ে আসছিলো ফোরকান চৌধুরী ও ফজলুল করিম চৌধুরী স্বপন ।
বুধবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান চৌধুরী ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ছোট ভাই বোরহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রাশেদা আক্তারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে হত্যা চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের স্থানীয়রা উদ্বার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল ইসলাম জাবেদ ও কায়সারকে আটক করেছে।
এ ঘটনায় বোরহান চৌধুরী বাদী হয়ে ফোরকান চৌধুরী,ফজলুল কাদের চৌধুরী স্বপন ,সাহাদাত হোসেন,শরিফুল ইসলাম জাবেদ,কায়সার,মহি উদ্দিন মুখা,রিপাত হোসেন,মিশু,ইমন,হাবিব উল্লাহর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
এ ব্যপারে ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান,বিষয়টি সঠিকভাবে যাছাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে ফোরকান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সাথে আঁতাত,ফরহাদ ইউনিয়নের খাইয়ারা বাজারস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা-ভাংচুর,কোন্দল সৃষ্টি,দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকা,অবৈধ বালু উত্তোলন,ক্ষমতার অপব্যবহার,টেন্ডার বানিজ্য ও খারাপ ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
অভিযোগের বিষয়ে ফোরকান চৌধুরীর সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।