বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল লাইনে জটিলতা দেখা দেয়ায় ইন্টারনেটে ধীরগতি সমস্যা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। ফলে আজ রোববার সকাল থেকেই ইন্টারনেটের গতি অর্ধেকে নেমে গেছে। বিএসসিসিএল বলছে, কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত সিমিউই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাত ৯টার আগ পর্যন্ত এই গতি স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিএসসিসিএল জেনারেল ম্যানেজার মির্জা কামাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার সকালের দিকে আলিপুর নামক স্থানে ক্যাবল কাটা পড়েছে। ঘটনাস্থলে প্রকৌশলীরা পৌঁছেছেন। লাইন আপ করতে রাত ৯টা লেগে যেতে পারে।
এখন শুধুমাত্র সিমিউই-৪ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সচল রাখা হয়েছে। এছাড়া স্যাটেলাইটের সক্ষমতা কম থাকায় পুরোপুরি ব্যাকআপ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। আজ দুপুরে এ সমস্যা হওয়ার পর মেরামতের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।
মশিউর রহমান বলেন, দেশে যে ব্যান্ডইউথ ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় অর্ধেক দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সরবরাহ করা হয়। ওই লাইন বন্ধ থাকায় সারা দেশে গ্রাহকরা ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ‘সিমিউই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে।
আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।
দ্বিতীয় এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পায় বাংলাদেশ।
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, রোববার দুপুর থেকে সমস্যা শুরু হয়। আইএসপিগুলো যে পরিমাণ ব্যান্ডইউডথ সরবরাহ করে, এখন তার অর্ধেক দিতে পারছে। তাই ব্রডব্যান্ড সংযোগে গ্রাহকদের গতি নিয়ে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।”